জীবনানন্দ দাশ ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি, লেখক ও প্রাবন্ধিক। জীবনানন্দ দাশ গ্রামবাংলার ঐতিহ্যময় নিসর্গ ও রূপকথা চিত্রায়িত করার কারণে ‘রূপসী বাংলার কবি’ হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। অনেক কবি সাহিত্যিক ও সমালোচক তাঁকে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল-পরবর্তী বাংলা সাহিত্যের প্রধান কবি বলে মনে করেন।আজকে আমরা এই রূপসী বাংলার কবি খ্যাত জীবনানন্দ দাসের বিখ্যাত কিছু উক্তির সাথে পরিচিত হব।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেরা বাণীর তালিকা
প্রেম ও ভালোবাসা নিয়ে জীবনানন্দ দাশের সেরা বাণীর তালিকা
১. “শেষবার তার সাথে যখন হয়েছে দেখা মাঠের উপরে
বলিলাম: ‘একদিন এমন সময়
আবার আসিয়ো তুমি, আসিবার ইচ্ছা যদি হয়!–
পঁচিশ বছর পরে!”২. “আরম্ভ হয় না কিছু — সমস্তের তবু শেষ হয় —
কীট যে ব্যর্থতা জানে পৃথিবীর ধুলো মাটি ঘাসে
তারও বড় ব্যর্থতার সাথে রোজ হয় পরিচয়!
যা হয়েছে শেষ হয়; শেষ হয় কোনোদিন যা হবার নয়!”৩. “যে জীবন ফড়িংয়ের দোয়েলের – মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা”
৪. “জ্ঞান হোক প্রেম
-প্রেম শোকাবহ জ্ঞান
হৃদয়ে ধারণ ক’রে সমাজের প্রাণ
অধিক উজ্জ্বল অর্থে
করে নিক অশোক আলোক।”৫. “হে পৃথিবী,
হে বিপাশামদির নাগপাশ, – তুমি
পাশ ফিরে শোও,
কোনোদিন কিছু খুঁজে পাবে না আর”।৬. “সারাটি রাত্রি তারাটির সাথে তারাটিরই হয় কথা,
আমাদের মুখ সারাটি রাত্রি মাটির বুকের ‘পরে!”৭. “যে-পৃথিবী জেগে আছে, তার ঘাস—আকাশ তোমার।
জীবনের স্বাদ ল’য়ে জেগে আছো, তবুও মৃত্যুর ব্যথা দিতে পারো তুমি;৮. “জীবন গিয়েছে চলে আমাদের কুড়ি কুড়ি বছরের পার-
তখন আবার যদি দেখা হয় তোমার আমার!৯. “আমরা যাইনি ম’রে আজো— তবু কেবলি দৃশ্যের জন্ম হয়:
মহীনের ঘোড়াগুলো ঘাস খায় কার্তিকের জ্যোৎস্নার প্রান্তরে,”১০. “চোখে তার যেন শত শতাব্দীর নীল অন্ধকার!
স্তন তার করুণ শঙ্খের মতো–দুধে আর্দ্র-কবেকার শঙ্খিনীমালার!”১১. “মনে হয় শুধু আমি, আর শুধু তুমি
আর ঐ আকাশের পউষ-নীরবতা
রাত্রির নির্জনযাত্রী তারকার কানে কানে কত কাল
কহিয়াছি আধো আধো কথা!”১২. “তোমার পাখনায় আমার পালক, আমার পাখনায় তোমার রক্তের স্পন্দন”