জালালউদ্দিন রুমী ছিলেন ১৩শ শতাব্দীর একজন মুসলিম কবি, আইনজ্ঞ, ইসলামি ব্যক্তিত্ব, ধর্মতাত্ত্বিক, অতীন্দ্রিয়বাদী এবং সুফী।জালালউদ্দিন রুমীর জন্ম ১২০৭ সালে বালখে যা বর্তমানে আফগানিস্তান। জ্ঞানের প্রতিটি শাখায় সমানভাবে দক্ষ ছিলেন জালালউদ্দিন রুমীর। তাকে ১৩শ শতাব্দীর অন্যতম একজন বিখ্যাত কবি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল।চলুন জালালউদ্দিন রুমীর কিছু অসাধারণ উক্তির সাথে আমরা পরিচিত হই।

জালালউদ্দিন রুমীর সেরা বাণীর তালিকা
“আমি পাখিদের মতো গাইতে চাই, কে শুনলো বা কে কি ভাবলো সেই নিয়ে চিন্তা করিনা”
“একবার তোমার ভীতরের ক্রীতদাস অদৃশ্য হয়ে যাক, তারপর তুমি সম্রাটেরও সম্রাট হয়ে যাবে”
“নীরবতা হলো ঈশ্বরের ভাষা”
“প্রেম নিজে থেকেই সব ভাষার মাধ্যমে নিজের পথকে খুঁজে বার করে নেয়”
“জীবনকে বদলানোর জন্যে তোমার কেবল একজনকেই প্রয়োজন, আর সেটা হলো স্বয়ং তুমি নিজেই”
“যেইসব শব্দ মন থেকে বের হয়, সেইগুলো মনেই প্রবেশ করে”
“যেই কাজকে করতে তুমি ভালোবাসো, সেই কাজে যদি তুমি পেশাদার ব্যবসায়ী হয়ে যাও, তাহলে সেটার সৌন্দর্যতা আরো বৃদ্ধি পাবে”
“প্রেম ছাড়া বাকি সবকিছুই অতীত হয়ে যায় | স্বর্গে যাওয়ার রাস্তা তোমার হৃদয় হয়েই যায়, তাই সেখানে পৌঁছানোর জন্য নিজের প্রেমের পাখাগুলোকে খোলো আর উড়ে যাও”
“যখন তুমি তোমার হৃদয় দিয়ে কাজ করতে থাকো, তখন তোমার মনে হয় যেন তোমার ভীতর দিয়ে এক খুশির নদী বয়ে যাচ্ছে”
“যখন তুমি সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে যাবে, যখন সবাই তোমার বিরোধ করবে, যখন তোমার মনে হবে তুমি এইসব আর এক মিনিটও সহ্য করতে পারবেনা, তখন কিন্তু হার মেনোনা | কারণ এটাই হচ্ছে সেই সময় আর স্থিতি, যেখান থেকে তোমার ভালো দিন শুরু হবে”
“দুনিয়া আমাদের এটা বলে মূর্খ বানায় যে, আমাদের কালকের জন্য অপেক্ষা করা উচিত | কিন্তু জীবনের আনন্দ তো এই মুহূর্তেই রয়েছে, যেই মূহুর্তকে তুমি যাপন করছো”
“রুটিতে পূর্ণ ঝুড়ি, তোমার মাথাতেই আছে কিন্তু তবুও তুমি দুয়ারে দুয়ারে এক টুকরো রুটি পাওয়ার জন্য ঘুরে বেড়াও | নিজের মাথার জন্য, ব্যর্থভাবে ঘুরো না | গিয়ে নিজের হৃদয়ের দরজায় আওয়াজ করো, অন্যের দরজায় কেন যাও?
“যখনই আমি প্রথম প্রেমকাহিনী শুনলাম, তখন থেকেই আমি তোমাকে খোঁজা শুরু করে দিয়েছিলাম, বিনা চিন্তা-ভাবনা করে যে এটা কেমন একটা অদ্ভুত বেপার | প্রেম করার মানুষকে শেষে পাওয়া যায়না, তারা তো একে অপরের মধ্যেই অবস্থান করে”