সক্রেটিস মানেই দর্শন, দর্শন মানেই সক্রেটিস।দর্শনশাস্ত্রে অনবদ্য অবদানের জন্য সক্রেটিসকে দর্শনশাস্ত্রের জনক বলা। প্রাচীন এই গ্রিক দার্শনিকের সময়কাল ছিল আনুমানিক ৪৭০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ – ৩৯৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত। সক্রেটিস কিভাবে জীবিকা নির্বাহ করতেন তার সঠিক প্রমান আজও মেলেনি তবে অনেকেই ধারণা করেন তিনি ভাস্করের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। তবে প্লেটোর কিছু লেখনি থেকে জানা যায় তিনি একসময় সামরিক বাহিনীতে যোগদান করেছিলেন। তৎকালীন শাসকশ্রেণী তার সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে তাঁকে হেমলক নামক বিষ পান করিয়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

ওয়ারেন বাফেটের সেরা বাণীর তালিকা
সক্রেটিসের সেরা বাণীর তালিকা
“আত্মার উন্নয়ন না করে শারীরিক সুস্থতা অর্থহীন। জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে আত্মার উন্নয়ন সাধনই মানুষের প্রথম ও প্রধান কাজ”
“মৃত্যুই হল মানুষের সব থেকে বড় আশীর্বাদ”
“আমি কাউকে কিছু শিক্ষা দিতে পারব না, আমি শুধু তাদের চিন্তা করাতে পারবো”
“প্রকৃত জ্ঞান নিজেকে জানার মধ্যে, অন্য কিছু জানার মধ্যে নয়”
“ব্যস্ত জীবনের অনুর্বরতা সম্পর্কে সতর্ক থাকো”
“সত্যিকারের জ্ঞান আমাদের সবার কাছেই আসে, যখন আমরা বুঝতে পারি যে আমরা আমাদের জীবন, আমাদের নিজেদের সম্পর্কে এবং আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তার সম্পর্কে কত কম জানি”
“ভালো লিখতে গেলে সাধারন মানুষের মতো নিজেকে প্রকাশ করতে হয় আর চিন্তাভাবনা করতে হয় জ্ঞানীদের মতো”
“আশা হলো জেগে স্বপ্ন দেখার মতো”
“জ্ঞানী মানুষরা কখনো সুখের সন্ধান করে না বরঞ্চ দুঃখ-যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করে”
“মানুষের কাছে যা ভালো মনে হয়, তাই সে করে। সমাজ জানে চুরি করা মন্দ কাজ, কিন্তু একজন চোরের নিকট চুরি করাটা তার জীবন কিছুটা সহজ করার রাস্তা। তাই চোরের ধারণায় চুরি করা ভালো কাজ এবং সে তা করে”
“বিয়ে করো। তোমার স্ত্রী ভালো হলে তুমি হবে সুখী, আর খারাপ হলে হবে দার্শনিক”
“একজন জ্ঞানী শিক্ষকের কাজ হলো কোনো ব্যাক্তিকে প্রশ্ন করে তার কাছ থেকে উত্তর জেনে দেখানো যে জ্ঞানটা তার মধ্যেই ছিলো”
“নারী জগৎ বিশৃঙ্খলা ও ভাঙ্গনের সর্বশ্রেষ্ঠ উৎস। সেটা বিষ বৃক্ষের ন্যায় যা দেখতে খুব সুন্দর দেখায়। কিন্তু চড়ুই পাখি তার ফল খেলে তাদের মৃত্যু অনিবার্য”